রক্তে ভেজা ব্যালট
গতকাল ৮ই জুলাই ২০২৩ সকাল ৭ টা থেকে শুরু হলো রক্তের হোলি, অবাক হওয়ার কিছু নেই ওটাকে পশ্চিমবঙ্গের ১০ম পঞ্চায়েত নির্বাচন বলতে আমি অপারক।
ঘণ্টায় ঘণ্টায় একজন মানুষ নিহত হচ্ছে, তা সে যে দলেরই হোক না কেন। এক মহিলা ও তার ভাইপো মিলে গোটা রাজ্যটাকে রসাতলে নিয়ে গেলো। আমি নিজের চোখে খবরের চ্যানেলে লাইভ দেখলাম অন্তত ১০ থেকে ১১ জন মারা যেতে, আর পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কমিশন বলে কি না মাত্র কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে এবং ৮ জন মানুষ নিহত হয়েছে। কাল ভোটদান পর্ব শেষ হয়েছে তবে খুনোখুনি এত তাড়াতাড়ি শেষ হবে বলে মনে হয়না।
গোঁফ রাখলেই মরদ হওয়া যায়না!
এটা কী ইয়ার্কি চলছে নাকি, তৃণমূলের কর্মী মারা গেলে বিজেপি / সিপিএম / আইএসএফ খুন করেছে আর যখন অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের কেউ অন্য দলের কাউকে খুন করেছে, তখন তৃণমূলের অশিক্ষিত গর্ধবগুলো বলে “নারী ঘটিত কেস” কিংবা “জমি সংক্রান্ত কেস”।
আমাদের পূর্বপুরুষরা বলে গেছে মেয়েরা/মহিলারা “মায়ের জাত”, তবে ঘাঁসফুল দলের দলনেত্রীকে দেখে তা নিয়ে আমার সন্দেহ হয়। অর্ধেক শিক্ষা দপ্তর জেলের হাওয়া খাচ্ছে, আরও কয়েকজনের অর্ধেক পা জেলে ঢুকে আছে, এরা আবার মুখে বড় বড় বাতেলা মারে। কিসের মোহ? চাকরি তো নেতারা খেয়ে হজম করে দিয়েছে! আদর্শহীন পার্টির দলদাস হয়ে কতদিন পেট চলবে?
আমার মনে হয় কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৫ বা ৩৫৬ আইন জারি করা। তা যদি না হয় তাহলে ধরে নেওয়াই যেতে পারে ভেতরে ভেতরে দিদি-মোদির সমঝোতা হয়ে গেছে।
আমি কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক সেটা এখানে প্রাসঙ্গিক নয়, কেউ বলতেই পারে আমি বিজেপির চাম্চা কিংবা সিপিএমের ক্যাডার কিন্তু তা দিয়ে বাস্তবতা পরিবর্তিত হবে না। “দশজন বিশজন মারা গেলে”, এই ‘১০’ / ‘২০’ এগুলো আমাদের কাছে শুধুই সংখ্যা মাত্র কিন্তু যে সন্তান অনাথ হয়ে গেলো, যে স্ত্রী বিধবা হয়ে গেল, যে মা-বাবা সন্তান হারা হয়ে গেলে তাদের কাছে ‘১’ সংখ্যাটির গুরুত্ব লিখে ব্যাক্ত করা অসম্ভব।
যদি আর বেশিদিন পিসির সরকার থাকে তাহলে ওই সংখ্যাগুলি বাড়তে বাড়তে একসময় মূল্যহীন হয়ে পড়বে।