জন্মদিনের গিমিক
আজ ২৫শে বৈশাখ নোবেল জয়ী ‘বিশ্বকবি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। আমি মাঝে মাঝেই ভাবি কতজন এই এনাদের জন্মদিন পালনের আগে তাঁকে জানার চেষ্টা করেছে। না না, আমি এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নীচে আলোচনা করবো না, তাঁর লেখা, দর্শন, দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে একটা হাজার পাতার মোটা বই তৈরি হয়ে যাবে।
প্রতি বছর ২৫শে বৈশাখ এলেই, আয়োজন করা হয় নানান অনুষ্ঠানের, ফেসবুক-টুইটারে এবং এখন আরও হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস এসবের পাতায় পাতায় গুগল থেকে কপি-পেস্ট মারা নানান উক্তির ছবির ছড়াছড়ি। কেউ কেউ আবার গান তান করে এদিকে ওদিকে শেয়ার করে। এইসব করে তারা জানান দেয় যে তারাও তাঁকে জানে।
এইসব লোককে এমন সাধারণ কোনো দিনে খপ করে ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে ছিল জিজ্ঞেস করলে, আমি ১০০ শতাংশ গ্যারেন্টি দিয়ে বলতে কেউ না কেউ একজন বলবেই ফিল্ম স্টার, কিংবা স্বাধীনতা সংগ্রামী। আসলে এই দিনগুলি উদযাপন এখন একটা গিমিকে পরিণত হয়েছে, শুধু নিজেকে ভালো বা কুল দেখাবার জন্য এই জিনিসগুলো মানুষ করে। ২৬শে বৈশাখ সবাই ভুলে যাবে গতকাল কী ছিল, ঠিক একই জিনিস দেখা যায় স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস, ২৩শে জানুয়ারি কিংবা গান্ধী জয়ন্তীতে। আর গান্ধী জয়ন্তীতে তো সবাই এক পা এগিয়ে, মনে আগে বছরই দেখছিলাম, কোন রাজ্যের এম.এল.এ গান্ধী মূর্তিকে একবারে জড়িয়ে ধরে নাঁকি কান্না কাঁদছিল, যেমন মহাত্মা গান্ধী একেবারে তার নিজের কাকার বাবা।