এক রবিবার
২৭ ডিসেম্বর , ২০২০
কাল রাতে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির ফেসবুক গ্রুপে একটা পোস্ট করেছিলাম “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুগ যুগ ধরে কমিউনিজমকে ভয় পায় কেন?” । এই পোস্টের একটা কমেন্ট বেশ দৃষ্টি আকর্ষণ করল আমার -
পুঁজিবাদ 95 %মানুষ কে শোষণ করে 5 %বা 2 %মানুষের সেবা করে. তাই পুঁজিবাদের পিঠ স্থান আমেরিকা সর্বদা কমিউনিজম কে ভয় পায় " কারণ কমিউনিজম সমাজের 95 %মানুষের হয়ে কথা বলে. তাঁদের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখায় " এই কারণে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে কমিউনিজম মাথাচারা দিয়ে উঠলেই ওদের মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়. তাই কমিউনিস্টরা সংঘবদ্ধ হবার আগেই ছলেবলে কৌশলে. এমনকি অর্থের প্রাবল্যে অঙ্কুরেই কমিউনিস্ট আন্দোলন ব্যর্থ করে দেয় “তাই যেদেশেই কমিউনিস্টরা সংঘবদ্ধ হচ্ছে সেই দেশই ওদের শত্রু. অর্থনৈতিক অবরোধ. চোরাগুপ্ত হামলা. সেই দেশের বিরুধীদের সরাসরি অর্থ দিয়ে বুদ্ধি দিয়ে খেপিয়ে তোলাই ওদের প্রধান কাজ “
এই প্রসঙ্গে বলা যায় পুরুলিয়ার মাটিতে আকাশ পথে অস্ত্র নামিয়ে দেওয়া. একটা উদাহরণ " যা বাংলার বামপন্থী সরকার ভেঙ্গে দেওয়ার একটা আন্তর্জাতিক চক্রান্ত “
(এখানে একদম অক্ষর থেকে অক্ষর কপি করে তুলে দিলাম, কমেন্টকারী ব্যক্তির গোপনীয়তার জন্য ওনার নাম দিলাম না।)
এখানে আমার মাথায় ব্যাপারটা মাথায় ঢুকল, ১৯৯৫ সালের যে অস্ত্র বর্ষণ হয়েছিল পুরুলিয়াতে সেটা তাহলে এতবড় চক্রান্ত ছিল শুধুমাত্র কমিউনিস্ট সরকারকে উচ্ছেদ করে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জন্যে (https://en.wikipedia.org/wiki/Purulia_arms_drop_case) । আজ রবিবার , তাই সকাল থেকেই চেষ্টা করছি যতবেশি সম্ভব তথ্য সংগ্রহ করার । এই বিষয়ে একটা গ্রুপের পোস্টের কমেন্ট থেকে উঠে এলো বেশ কয়েকটি বইয়ের নাম -
১। The Night it Rained Guns
২। সমৃদ্ধ দত্তর গুপ্তচর
৩। সমৃদ্ধ দত্তর ব্ল্যাক করিডর ১ এবং ২
এছাড়া আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পেলাম - সেই সময় আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক রানা সেনগুপ্ত এই বিষয়টি বিস্তারিত ফলো করেছিলেন। তার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগের সূত্র পেলাম । প্রয়োজন হলে যোগাযোগ নিশ্চয়ই করব।
এছাড়া কিছু সাম্প্রতিক খবরের কাগজ পড়ে দেখলাম , বারবার আনন্দমার্গের নাম বারবার উঠে আসছে। নিশ্চয়ই এদের মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে।
দেখা যাক , কতদূর কী করতে পারি।
আজ আকাশ ফেটে নামে বৃষ্টি / কোমল জলের নেইকো ছোঁয়া / আছে ধাতুর অস্ত্র
~ পলাশ বাউরি