অদ্ভুত স্বভাব

আমার অন্যতম খারাপ স্বভাব হলো , একসাথে অনেকগুলি বই পড়া। যেমন ধরো, আমি সপ্তাহখানেক আগে, কার্ল মার্কসের জীবনী পরছিলাম কিন্তু কি মনে হল সাথে সাথে বরুণ সেনগুপ্তের নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যও পড়তে শুরু করলাম, আবার কালকে আবার এপিজে আব্দুল কালামের অগ্নিপক্ষ শুরু করলাম , সেটাতে আবার একটা ইন্টারেস্টিং ঘটনার কথা পড়লাম , সেটা পড়লাম। এবার বুঝতেই পারছো, কেমন আজব স্বভাব আমার।

 

কালকে দুপুরে এপিজে আব্দুল কালামের উইংস অফ ফায়ারের বাংলা অনুবাদ অগ্নিপক্ষ পরছিলাম,  এর আবার প্রথম কিছুটা অংশ আমাদের ক্লাসের ইংরেজি পাঠ্যবইতে ছিল। যাইহোক প্রথম কিছু অংশ জানা থাকলেও পরের অংশগুলি ছিল প্রায় বেরিভাগই অজানা। পড়তে পড়তে অনার বাল্যকালের একটি ঘটনা দৃষ্টি আকর্ষণ করলো - 

তার বাল্যকালে সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিল তিনজন তাদের মধ্যে একজন ছিল রামেস্বরম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পক্ষী লক্ষণ শাস্ত্রীর পুত্র। তারা তাদের বিদ্যালয়ের ক্লাসের প্রথম বেঞ্চেই পাশাপাশি বসত প্রতিদিন। একদিন হলো কি, তাদের বিদ্যালয়ে একজন নতুন শিক্ষক এলেন , তিনি ক্লাসে ঢুকে একজন পুরোহিতের পুত্র এবং একজন মুসলমানের পুত্র বসে আছে দেখে, কালামকে একেবারে শেষের বেঞ্চে বসিয়ে দিলেন। এই দেখে, তার বন্ধু , অর্থাৎ পুরোহিতের ছেলে তো কেঁদেই ফেলল। পরে যখন ঘরে গিয়ে সব ঘটনা খুললে বলল , লক্ষণ শাস্ত্রী ওই শিক্ষককে তিরস্কার করে বললেন , তিনি শিশুদের মধ্যে বিভেদের বীজ বপন করছেন। 

সেদিন হয়তো ওই শিক্ষক, আন্দাজ করতেই পারেনি, শেষের বেঞ্চে বসানো ছেলেটি একদিন বিশ্ববিখ্যাত এত বড় একজন মানুষ হবে, জানলে হয়তো তাঁকে কোনোদিন পেছনে বসাতেন না। তবে সেই শিক্ষক সেদিন হয়তো, মূলত সামজিক অবস্থানটাকেই বিচারের মাপকাঠি করেছিলেন। 

ইংরেজরা দেশ ছেড়েছে অনেককাল আগেই/ জাত পাতের কবে ছাড়বে দেশ?

~ পলাশ বাউরি

✏️ শেষ সম্পাদনাঃ বুধ, 25 জানুয়ারি 2023 | 📎 লিঙ্ক
এক লেখাটি সম্পর্কে কোনো মতামত আছে 🤔? তাহলে আমাকে ইমেল পাঠান (নীচে দেওয়া আছে) কিংবা টুইটারে বা ফেসবুকে আমাকে @bauripalash মেনশন করে পোস্ট করুন 😺!

আমার লেখাগুলো বা অন্যকোনো কাজ ভালো লাগছে? তাহলে এক কাপ চা খাওয়ান

আরও পড়ুন